ইঞ্জিন চালু অবস্থায় হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারন কি? কি?
ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার কারন মুলত দুটিঃ
১. ইঞ্জিনের ইন্টারনাল অর্থাৎ ভিতরের কারন
২.ইঞ্জিনের এক্সটারনাল অর্থাৎ বাইরের কারন।
যদি বাইরের টর্ক বেশি হয়ে যায় তখন ইঞ্জিন টানতে পারে না এবং বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ বেশি গিয়ার বা হাই গিয়ারে ইঞ্জিন কম স্পিডে চললে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া গিয়ার বক্স যদি সিজ করে তবেও এটা হতে পারে।
ভিতরের কারনগুলোর মধ্যে যদি ইঞ্জিন সিজ করে তবে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন গাড়ি বেশি সময় ধরে বেশি স্পিডে চালালে এবং ইঞ্জিন লুব্রিকেন্ট ঘাটতি হলে। স্পার্ক প্লাগ স্পার্ক না করাও এর একটি কারন। ফুয়েল ট্যাংকে পানি ঢুকে গেলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা স্টার্ট নাও নিতে পারে। ফুয়েল ট্যাংক এর বায়ু ঢোকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেলে তেল নিস্কাশন এ প্রবলেম হবে এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে।
কম সিসি ইঞ্জিন বা বেশি সি সি ইঞ্জিন ব্যবহারের কারন? বেশি সিসি ইঞ্জিনের গাড়ি কেনার কারন?
ইঞ্জিনের সিসি নিয়ে অনেকেই বেশ ঝামেলায় পড়ে থাকেন যেমনঃ সিসি কি বা বেশি সিসির গাড়ি কিনে কি লাভ। সিসি বলতে বুঝায় কিউবিক সেন্টিমিটার। এটা দ্বারা আয়তন বোঝানো হচ্ছে অর্থাৎ সিসি দিয়ে ইঞ্জিন সিলিন্ডারের ভিতরের মোট আয়তন বোঝানো হচ্ছে। আপনার গাড়ির ইঞ্জিনের যতগুলো সিলিন্ডার আছে ততগুলো সিলিন্ডারের ভেতরের মোট যে পরিমান যায়গা খালি থাকে সেই আয়তনটাই বুঝাচ্ছে এই সিসি দ্বারা। সিলিন্ডারের মধ্যের এই আয়তনের ভিতরেই জ্বালানি ও বাতাস প্রবেশ করে আবশেষে দহন প্রকৃয়ায় চাপ, তাপ এবং আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে ইঞ্জিন কে গতি প্রদান করে কাজ করার শক্তি যোগান দিয়ে থাকে।
যত বেশি বাতাস ও জ্বালানির মিশ্রন দহন হবে ততি বেশি শক্তি উৎপন্ন হতে থাকবে। এতে কাজ করার ক্ষমতাও তত বেড়ে যাবে ইঞ্জিনের তথা গাড়িটির। অতএব বোঝাই যাচ্ছে সিসি বেশি মানে সেই ইঞ্জিনের বা গাড়ির ক্ষমতা বেশি তার কারন এটি প্রতি স্ট্রোকেই অধিক জ্বালানি গ্রহন করে থাকে।
আমরা সকলেই জানি যে সমান দুরুত্ত অতিক্রম করতে বেশি সিসির ইঞ্জিনের জ্বালানী খরচ বেশি হয় কম সিসি ইঞ্জিনের তুলনায়। একই দুরুত্ত অতিক্রম করতে দুই ধরনের সিসি ইঞ্জিনের সমান স্ট্রোক সম্পন্ন করতে হয় কারন দুটি ইঞ্জিন একই আর পি এম এ ঘুরছে। এ থেকে বোঝা যায় বেশি সিসির ইঞ্জিনে জ্বালানী বেশি লাগে।
বেশি সিসির ইঞ্জিন ব্যবহারের মূল কারন হচ্ছে যদি ইঞ্জিনকে বেশি লোডে এবং বেশি গতিতে পরিচালিত করা হয় সেক্ষেত্রে কম সিসি ইঞ্জিন বেশি সিসি ইঞ্জিনের তুলনায় পরাজিত। কম সিসি ইঞ্জিন দিয়ে বেশি লোড বা বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না বেশি সিসি ইঞ্জিনের তুলনায়। এই কারনেই একই দুরুত্তে কম সিসি ইঞ্জিনের পরিবর্তে বেশি সিসি ইঞ্জিনের গাড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
গাড়ি দেখে কত সিলিন্ডার তা নির্ণয়
যদি এমনটা লেখা থাকে 16 Valve EFI লেখা স্টিকার থাকলে বুঝতে হবে প্রত্যেক সিলিন্ডারে ২ টি ইনটেক ২ টি এগজস্ট অর্থাৎ প্রতি সিলিন্ডারে ৪ টা করে ১৬ টা ভাল্ভ ৪ সিলিন্ডারে। তাহলে এটি একটি ৪ সিলিন্ডার ইঞ্জিন।
V-6, V-8, V1-2 লেখা স্টিকার থাকলে বুজতে ” V ” টাইপ/শেপ ইঞ্জিন ৬,৮ অথবা ১২ সিলিন্ডার।
I-4, I-6 লেখা স্টিকার থাকলে বুজতে ” I ” Inline ইঞ্জিন ৪/৬ সিলিন্ডার।